
ভালো শুরুর পর মাঝের ওভারগুলোতে সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দেড়শ করতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে শেষদিকে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন মোহাম্মদ নবি। ২০তম ওভারে ৫ ছক্কায় ৩২ রান তোলেন তিনি। তাতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে আফগানিস্তান।
আবুধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করেছে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন নবি।
শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও সাদিকুল্লাহ অটল। বিশেষ করে গুরবাজ বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তার আগে ৮ বলে করেছেন ১৪ রান।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি করিম জানাত। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ৩ বল খেলে করেছেন এক রান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন থুসারা। ৩২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো আফগানিস্তান তাকিয়ে ছিল অটলের দিকে। তবে হতাশ করেছেন এই তরুণ ওপেনার। থুসারার বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। তাতে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করে আফগানিস্তান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইব্রাহিম জাদরান ও ডারউইস রাসুলি মিলে চেষ্টা করেছেন দলকে টেনে তোলার। তবে ১৬ বল খেলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি রাসুলি। ছয়ে নেমে ব্যর্থ আজমতউল্লাহ ওমরজাই। নিজের খেলা প্রথম বলেই জীবন পাওয়া এই ব্যাটার ৪ বলে ৬ রান করেছেন।
বাকিদের আসা-যাওয়ার মধ্যেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ইব্রাহিম। উইকেটে থিতু হওয়ার পর গিয়ার পরিবর্তন করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়েছে। বড় শট খেলতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েছেন। ২৪ রান করে ইব্রাহিম ফিরলে ৭৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
দ্রুত উইকেট হারিয়ে দল যখন খাদের কিনারায় তখন ত্রাতা হয়ে আসেন নবি ও রশিদ খান। দুজনে মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩৫ রান যোগ করেন। ২৩ বলে ২৪ করেছেন রশিদ।
রশিদ ফেরার পর দেড়শ রানও কঠিন ছিল আফগানিস্তানের জন্য। তবে সেই কঠিন কাজটাই সহজেই করলেন নবি। শেষ ওভারে দুনিথ ভেল্লালেগেকে বোলিংয়ে আনেন চারিথ আসালঙ্কা। এই বাঁহাতি স্পিনারকে সামনে পেয়ে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন নবি। ওভারের প্রথম ৫ বলে ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মোট ৩২ রান আসে সেই ওভারে। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৬০ রান করেছেন নবি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর