
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডিইউজেসা) গৌরবময় চার দশকে পদার্পণ করেছে। ১৯৮৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন চার দশক ধরে সাংবাদিকতা জগতে পেশাদারিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রশাসন, প্রাক্তন ও বর্তমান সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা কেবল তথ্য পরিবেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন, তারা শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবেও কাজ করেন।
ঢাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন সহজ কাজ নয়। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরে তা দক্ষতার সঙ্গে করে আসছেন। তাদের প্রতিবেদনে যেমন অসংগতি উঠে আসে, তেমনি ইতিবাচক কার্যক্রমও প্রতিফলিত হয়। তিনি আরও জানান, সাংবাদিকদের সরবরাহ করা তথ্য অনেক সময় প্রশাসনকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়াতে তিনি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রস্তাব দেন, যেখানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকরা যুক্ত হতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা ভুল ধরিয়ে দেন, সমালোচনার মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দেন। তাই তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেন, আমরা নেতা নই, শিক্ষার্থীদের সেবক। ফ্যাসিবাদী সময়ে যখন শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তখন সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা পাশে দাঁড়িয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল এবং ৯ দফা দাবিপত্র সংবাদমাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছিল।
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য খাইরুজ্জামান কামাল স্মৃতিচারণ করে বলেন, শুরু থেকেই সংগঠনটি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং সেগুলো মোকাবিলা করে এগিয়ে গেছে।
বর্তমান সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, পথচলায় অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছে, তবে কোনো বাধাই ডিইউজেসাকে টলাতে পারেনি। আমরা বিশ্বাস করি, সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠতা ও সাহসী ভূমিকা ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয় ও সমাজকে পথ দেখাবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর