
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় এমএমচালা বিট কার্যালয়ের প্রহরিদের ওপর হামলার ঘটনায় সখীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিট কর্মকর্তা রুমিউজ্জামান বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন, স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শের আলীসহ ৭ জনকে আসামি করে গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জের এমএমচালা বিটের বন প্রহরি আব্দুল মোতালেব ও ওয়াসার খসরু মিয়া গত শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ছাতিয়াচালা এলাকা থেকে এক ভ্যান শাল গজারি গাছের লাকড়ি জব্দ করে বিট কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। ওইদিন বিকেলের দিকে ওই দুই বন প্রহরি দায়িত্ব পালনকালে ছাতিয়া বাজারে গেলে বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলাউদ্দিন ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শের আলীর নেতৃত্বে আসামিরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই বন প্রহরি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তা রুমিউজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আসামিরা হলেন— ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন (৫৫), ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শের আলী (৫০), ছাতিয়া গ্রামের বিএনপি কর্মী আপন হোসেন (৩৫), শ্রমিক দলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), আয়নাল মিয়া (৫০), আজাহার আলী (৪৫) এবং বাহাদুর মিয়া (৪০)। মামলার বাদী রুমিউজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ছাতিয়া বাজারে গেলে আসামিরা তাঁকে ও রেঞ্জ অফিসারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাঁদেরকেও মারতে আসে।
উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ বলেন, ইউপি সদস্য ও তাঁর ভাই বনপ্রহরিদের মারধর করার সময় আমার ওয়ার্ডের নেতা শের আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। হামলার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির কেউ জড়িত নন। মীমাংসা করতে গিয়ে তাঁদের আসামি হতে হয়েছে। মামলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহার করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
সখীপুর থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বলেন, বন বিভাগের প্রহরিদের ওপর হামলার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
সর্বশেষ খবর