
যশোরে কাজের কথা আছে বলে এক কোম্পানির ডিপো ইনচার্যকে অফিসে ডেকে ধর্ষণ অতঃপর ভিডিও করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে মামলাটি করেছেন ভুক্তভোগী নিজেই। অভিযুক্ত সোহেল যশোর সদরের স্টেডিয়ামপাড়ার ফিরোজের ছেলে। এদিকে বেরিয়ে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত শুক্রবার সকালে ডেকে নিয়ে ডিপো ইনচার্জকে ধর্ষণের পর বেধড়ক মারপিট করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছিল সোহেল। এসব বিষয়ে জানাজানি করলে তা ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। থানায় মামলা দায়েরের পর গা-ঢাকা দিয়েছেন সেই ধর্ষক সোহেল।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ৪-৫ মাস আগে সোহেল তাদের কোম্পানির ডিলারশিপ নেন। সেখান থেকেই সোহেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের পণ্য ছিল বিভিন্ন পশু-পাখির খাবার ও ওষুধ। সোহেল যশোর সদরের স্টেডিয়ামপাড়ায় তার বাড়ির পাশে একটি ডিলার অফিস নেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কোম্পানির পক্ষ থেকে অফিসে ডিলারদের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মিটিং শেষে সোহেল তার মোবাইল নম্বর নেন। ওই দিনই রাত আটটার পর তিনি কল করে বাড়ির সামনে গিয়ে কথা বলেন। এসময় ‘একটু সমস্যা হয়েছে’ তাকে বলা হয় শুক্রবার সকালে তার অফিসে যেতে।
সকালে ওই নারী প্রথমে তার অফিসে যান। গিয়ে দেখেন তালা মারা। এরপর সোহেল তাকে তার ফ্লাট বাসায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন কেউই নেই। সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে তাকে মারপিট করা হয়। এরপর সোহেল তার মুখে হিজাব গুঁজে দেন। পরে তাকে ধর্ষণ করে এবং অপ্রীতিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এসব বিষয়ে কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখান। পরে বাদী তার বাড়ি থেকে চলে আসেন। থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে মামলা রেকর্ড করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা রেকর্ড হয়েছে। বাদীকে মেডিকেল করানো হয়েছে। আদালতে আজ তার জবানবন্দি প্রদানের কথা রয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশ সোহেলকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও সোহেলের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনায় মামলাও হয়েছে। খেয়েছেন গণপিটুনিও। এছাড়া নিজের স্ত্রীকে হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন সমালোচিত এই সোহেল।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর