টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এবার ২৫৮টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০৮। উপজেলা পর্যায়ে মির্জাপুরেই সর্বোচ্চ সংখ্যক পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে এখানকার সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে জানা গেছে।

এবার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে মহেড়া ইউনিয়নে ১৫টি, জামুর্কী ইউনিয়নে ৩৩টি, ফতেপুর ইউনিয়নে ১৭টি, বানাইল ইউনিয়নে ১৬টি, আনাইতারা ইউনিয়নে ১১টি, ওয়ার্শী ইউনিয়নে ১৫টি, ভাতগ্রাম ইউনিয়নে ৩২টি, বহুরিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, গোড়াই ইউনিয়নে ১৯টি, আজগানা ইউনিয়নে ৪টি, তরফপুর ইউনিয়নে ৯টি, বাঁশতৈল ইউনিয়নে ২টি, লতিফপুর ইউনিয়নে ১৭টি, ভাওড়া ইউনিয়নে ৪টি এবং পৌরসভা এলাকার মোট ৫১টি মণ্ডপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

সর্বোচ্চ সংখ্যক পূজা মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হলেও এ নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে এর আগে কখনো অতিরিক্ত চাপ অনুভব করতে হয়নি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পূজা ঘিরে পূজারিদের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একাধিক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে পূজা মণ্ডপের দায়িত্বশীলদের প্রত্যেক পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্বে থাকাদের রেজিস্টার ব্যবস্থাপনা করা, মণ্ডপে ডিজে গান পরিবেশন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

মির্জাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রমথেস গোস্বামী বলেন, মির্জাপুরের মানুষের মধ্যে একটি দারুণ ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে বিধায় এখানে কখনো তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে না। আমরাও সচেতন রয়েছি, আশা করছি সুন্দরভাবেই পূজা উদযাপিত হবে।

সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ বলেন, উৎসব উৎসবের মতোই উদযাপিত হবে। ইতোপূর্বেও মির্জাপুরে উল্লেখযোগ্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, এবারও ঘটবে না। এখানকার মানুষের মধ্যে সেই সৌহার্দ্য সম্প্রীতি রয়েছে। আমরাও সচেষ্ট রয়েছি।

রার/সা.এ