ফেনীতে ভূয়া সেনাকর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারনা করতে গিয়ে এলাকা বাসীর হাতে আটক হয় পিন্টু নামক এক রং মিস্ত্রি। তার কাছে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ভুয়া সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় নাছরিন আক্তার রিতু(২২) নামে এক মেয়ে বাদী হয়ে মামলা করেছে।
এলাকাবাসী ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেনীর লেমুয়া ইউনিয়নের তেরবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত ভুয়া সেনা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন পিন্টু (৩৮), পরশুরাম পৌরসভার উত্তর গুথুমা গ্রামের মৃত.আব্দুল ওয়াহাব মিয়ার ছেলে।
বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শওকত হোসেন তাকে আটক করে।শওকত জানায় পিন্টু নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের তেরোবাড়িয়া এলাকায় নাছরিন আক্তার রিতু নামের এক নারীকে গত তিন মাস যাবত বিয়ের জন্য প্রলুব্ধ করে আসছিল। রিতুর পরিবারের কাছে রিতুকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রিতু এক পর্যায়ে তার প্রেমে ফাঁদে রাজি হয়ে বিয়ে করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়।কিন্তু এলাকাবাসী সন্দেহজনক মনে হয় আরিফ শুভ্র নামে স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।জিজ্ঞেসাবাদে কিছু ছবি দেখিয়ে তাকে বুজানোর চেষ্টা করে।পরবর্তীতে স্থানীয় সেনাবাহিনীকে জিজ্ঞেস করলে পিন্টু ভুয়া বলে প্রমানিত হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় রানা খান বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সিরাজুল ইসলামকে অবহিত তিনি কর্তব্যরত কর্মকর্তা শওকত হোসেন কে পাঠায়। পিন্টু দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে নানা জায়গায় নানান প্রতারণা করে আসছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু স্বীকার করে যে, সে সেনা বাহিনীর সদস্য নয়; প্রতারণার উদ্দেশ্যে সেনা কর্মকর্তার পরিচয় দিত।মূলত পরশুরামের গথুমা গ্রামে পিন্টু রং মিস্ত্রির কাজ করে।তার এক জেঠাত ভাই সেনাবাহিনীতে কাজ করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশের নেতৃত্বে ছাগলনাইয়া থানার মধুপুর এলাকায় তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে তার দেখানোমতে আলামত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-৩ সেট সেনা বাহিনীর ইউনিফর্ম,২টি সেনা জ্যাকেট, বাংলাদেশ আর্মি লেখা টাউজার,হেলমেট, বুট, জ্যাকেট, ব্যারেট ক্যাপ ও ফিল্ড ক্যাপ,সেনাবাহিনীর ওয়াটার পোর্ট, বেল্ট, ব্যাজ, মেডেল,মেজর পরিচয়ে ভুয়া সিল ও স্ট্যাম্প প্যাড,সেনা প্রশিক্ষণ কার্ড লেখা ডায়েরি,একটি মোবাইল সেট (TECNO SPARK 6GO) সিমকার্ডসহ।
পুলিশ আরো জানায়, আসামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা কর্মকর্তার পোশাক পরে ছবি প্রকাশ করে বিভিন্ন নারীদের প্রলুব্ধ করত এবং অর্থ হাতিয়ে নিত।
ফেনীর পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, “ভূয়া সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর