
পাবনার ঈশ্বরদীতে হতদরিদ্রদের জন্য সরকারি চাল বণ্টন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপির বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
রোববার ও সোমবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচড়া এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও (ডিলার) লিটন মাস্টার দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নির্ধারিত ১৫ টাকা কেজির চাল বিতরণ করেন। এরই মধ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুল হোসেনের কাছে স্থানীয় কিছু হতদরিদ্র মানুষ অভিযোগ করেন যে, লিটন মাস্টার ও তার অনুসারীরা হতদরিদ্র সবাইকে নির্ধারিত ৩০ কেজির স্থলে ২৫ থেকে ২৬ কেজি করে চাল দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সাহাবুল হোসেন একাধিকবার লিটন মাস্টারকে অবগত করেও কোনো সমাধান হয়নি। গত সপ্তাহে আবারো চাল বিতরণের সময় হতদরিদ্র এসব মানুষকে তিন থেকে চার কেজি করে চাল কম দেওয়ার অভিযোগে সাহাবুল হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে লিটন মাস্টারের সমর্থকদের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে রোববার বিকালে লিটন মাস্টারের ভাই কলম খাঁকে মারধর করে স্থানীয় জনতা। পরে লিটন মাস্টারের সমর্থকরা সাহাবুল হোসেনের অফিস ভাঙচুর করে।
সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মাস্টার বলেন, সাহাবুল হোসেন ডিলারশিপের অর্ধেক অংশীদার হতে চেয়েছিলেন। তাকে অংশীদার না করায় আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব করছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান আল নাঈম বলেন, খাদ্য বন্ধব কর্মসূচির আওতায় দেওয়া ৩০ কেজি চালের বস্তা খোলার কোনো নিয়ম নেই এবং ওজনে ৩০ কেজির কম দিলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো ডিলার যদি এ ধরনের কাজ করে থাকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনায় সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মাস্টারের পক্ষে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আ.স.ম. আব্দুন নূর জানান, একটি পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর