
বগুড়ার শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নের আলভী আমিন (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে একই গ্রামের সহপাঠী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই ছাত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ধর্ষণ মামলার আসামি আলভী আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আলভী আমিন শেরপুর থানার ভবানীপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। গতকাল বুধবার দুপুরে আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আলভী আমিন একই গ্রামের স্কুলছাত্রীর সঙ্গে লেখাপড়া করে। গত ৩১ জানুয়ারি আলভীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে নোটবই দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আরও কিছুদিন ধর্ষণ করে। যখন ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে, তখন তাকে বিয়ে করার কথা বললেও আলভী বিভিন্নভাবে তালবাহানা শুরু করে। এভাবেই আট মাস অতিবাহিত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে গত মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতা নিজেই আলভী আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত থেকে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের একটি আদেশ শেরপুর থানায় আসে। পরে এসআই সিয়াম ও এসআই সাইফ আহমদ অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে আলভী আমিনকে গ্রেপ্তার করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. মঈনুদ্দিন বলেন, আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় আলভী আমিনকে রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকড়খোলা এলাকায় মাদ্রাসা পড়ুয়া নবম শ্রেণির এক ছেলে ও মেয়েকে রাত ৩টায় মেয়ের বাড়ির ঘরের মধ্যে আটক করেছে মেয়ের পরিবার। দুপুর ২টা পর্যন্ত এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েকে বাড়িতে ছেলেকে আটক করে রেখেছে মেয়ের পরিবার। এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. মঈনুদ্দিন বলেন, এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর