
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যহাতির তান্ডবে উঠতি আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) গভীর রাতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি বন্যহাতির একটি পাল পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম সমশ্চূড়ার ঝোরাপাড় গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় তারা অন্তত ১৪ থেকে ১৫ জন কৃষকের প্রায় ৫ একর জমির ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয়। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।
সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে খাদ্যের সন্ধানে হাতির পাল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এ সময় পশ্চিম সমশ্চুড়া গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, সাইদ মিয়া, শামসুন্নাহার, জুলেখা বেগম, আবু বকরসহ অন্তত ১৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হন। হাতি পা দিয়ে পিষ্ট করার কারনে থোড় ধানগাছ মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। এতে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন বলেন, গভীর রাতে হাতির দল এসে আমার প্রায় দুই একর আমন ধানের ফসল নষ্ট করেছে। প্রতি মৌসুমেই হাতির আক্রমণ হয়। আমরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।
অপর কৃষাণী জুলেখা বেগম বলেন, ঋণ ধার করে পৌনে দুই একর জমি আবাদ করেছি। এখন সব ধান শেষ। তিন সন্তান নিয়ে আমি কীভাবে চলবো? সরকার যদি সাহায্য করে তবেই বাঁচতে পারবো।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বনবিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের ধানক্ষেত পরিদর্শন করে তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রায় ১৪ থেকে ১৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তারা বন বিভাগের কাছে আবেদন করলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।
সর্বশেষ খবর