
বান্দরবানের লামায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া পর্যটক মো. সোহান (২৭)-এর লাশ ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় ৪০ ফুট পানির নিচ থেকে সোহানের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন, নিহতের স্বজন ও লামা পর্যটন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিখোঁজ মো. সোহান ঢাকার মিরপুরের ইউসিবি চত্বর এলাকার আবু হান্নান সরকারের ছেলে। লাশ দেখে নিহতের স্বজন ও তাঁর সঙ্গে গোসল করতে নামা বন্ধু শাকিল কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মো. সোহান ও তাঁর বন্ধু মো. শাকিল লামা মাতামুহুরী নদীর তীরঘেঁষে সাদা পাথর এলাকায় হোয়াইট পিক স্টেশন রিসোর্টে আসেন। দুপুরে তাঁরা দুজন রিসোর্টের পাশে মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নামলে পানির স্রোতে সোহান ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হন। ওই সময় সাথে থাকা মো. শাকিল সাঁতার কেটে উপরে উঠতে সক্ষম হন।
বন্ধু শাকিল জানান, দুজন একসাথে মাতামুহুরী নদীতে গোসলে নামলে স্রোতের টানে সোহান ডুবে যায়। সাথে সাথে রিসোর্টে এসে জানালে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল্লাহ জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে নিখোঁজ পর্যটককে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়। টানা ২২ ঘণ্টা অভিযানে আমাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলের প্রায় ৪০ ফুট পানির নিচ থেকে সোহানের লাশ উদ্ধার করে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, নিখোঁজ পর্যটক সোহানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। কারো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত করা হয়নি।
লামা রিসোর্ট মালিক সমিতির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন রফিক বলেন, গতকাল থেকে লামা রিসোর্ট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও হোয়াইট পিক স্টেশন রিসোর্টের কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযানে ছিল।
লাশ পরিবহনকারী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স সংগ্রহ ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে সহায়তা করা হয়েছে। তিনি সকল পর্যটকদের ঝর্ণা ও নদীতে গোসল করতে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর