
বেনাপোলে ইদ্রিস আলী (১৫) নামের এক মোটর মেকানিককে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের ছবি পাঠিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের ধারণা, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে অপহরণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পরে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইদ্রিস আলীকে একটি বদ্ধ ঘরে চোখ বেঁধে ফেলে রাখার ছবি পাঠিয়ে মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার কাজের উদ্দেশ্যে বেনাপোলের ঘিবা গ্রাম থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ইদ্রিস। পরে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুধবার থানায় অভিযোগ দেন।
ইদ্রিসের বাবা আজিজুর রহমান জানান, সংসারের অভাব-অনটনের কারণে তার ছেলে বেনাপোল বাজারের একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে গত মাসে কাজ নেয়। গত সাত দিনে তিন দফা তার ছেলেকে বেনাপোল বাজারের মেয়র মার্কেটে ফেলে মারধর করে কিশোর গ্যাংয়ের আট-দশ সদস্য।
পরে ছেলেকে আবারও তারা মারার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকালে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেনাপোল বাজারে আসে। কিন্তু দুপুরের পরে তার ফোন বন্ধ থাকে এবং নিখোঁজ হয়।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে গ্যারেজে যায়নি। না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দেওয়া হয়। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইদ্রিসের বোনের মোবাইলে ইদ্রিসকে চোখবাঁধা অবস্থায় একটি নির্যাতনের ছবি পাঠিয়ে মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে সন্দেহভাজন তিন কিশোরকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তারা ইদ্রিসকে মারধরের ঘটনার সময় ছিলেন স্বীকার করলেও অপহরণের বিষয়ে তাদের কোনো হাত নেই বলে জানান। তাকে উদ্ধার ও এ ঘটনার প্রকৃত জড়িতদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর