
নরসিংদী, ৪ অক্টোবর — সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় নরসিংদীর অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শামিম আনোয়ার হামলার শিকার হয়েছেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদী পৌর শহরের আরশিনগর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় নিয়মিত টহলে ছিলেন এএসপি শামিম আনোয়ার। আরশিনগর এলাকায় তিনি দেখতে পান দুজন ব্যক্তি সড়কে চলাচলকারী যানবাহন থেকে টাকা তুলছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে ও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে, হঠাৎ ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়।
আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে থেকে শামিম আনোয়ার বলেন,
“আমি নিয়মিত টহলে ছিলাম। আরশিনগর এলাকায় গিয়ে দেখি কয়েকজন টাকা তুলছে। আমি জিজ্ঞেস করি—কেন টাকা তোলা হচ্ছে, আদালতের তো নিষেধাজ্ঞা আছে। এরপরই হঠাৎ করে একদল লোক আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি অচেতন হয়ে যাই। পরে সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে নেয়।”
সম্প্রতি নরসিংদীর সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেন এএসপি শামিম আনোয়ার। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখে পড়ছিলেন এবং নিজের ফেসবুক পেজে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার কথাও প্রকাশ করেছিলেন।
অন্যদিকে, পৌরসভার সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. আলমগীর দাবি করেছেন,
“আমি পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় স্ট্যান্ডের ইজারা নিয়েছি। কিন্তু এএসপি শামিম আনোয়ার আমাদের বৈধভাবে টাকা তুলতে বাধা দেন। আগেও তিনি আমাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছিলেন। আজও তিনি আরশিনগর এলাকায় এসে আমাদের লোকজনকে আটক করছিলেন। যদি আমাদের কাজ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে সরকার আমাদের দেওয়া টাকা ফেরত দিক।”
তবে হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন,
“এমন কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।”
সর্বশেষ খবর