
মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নকে সামনে রেখে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভা থেকে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আবুল কাশেম, কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার, সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তার খানম, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোহাম্মদ আজিজুল হক, মো. হাবিবুর রহমান ও স্বপন কুমার সরকার, কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. এনায়েত হোসেন, মো. আব্দুল কাইয়ুম ও মো. এখলাস উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকের এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীত করে চার স্তরীয় পদসোপান, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা সংরক্ষণসহ মাধ্যমিকের সকল কার্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা রক্ষা, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার সকল শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন এবং বকেয়া সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের মঞ্জুরি আদেশ প্রদানের ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক দাবিসমূহ আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। অন্যথায় চাকরিবিধি মেনে মানববন্ধন, মহাসমাবেশ আয়োজনসহ নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।
বক্তাগণ আরও বলেন, সরকারি মাধ্যমিকের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকের জন্য পদোন্নতিযোগ্য পদ মাত্র ৪%। যৌক্তিক কোনো পদসোপান না থাকায় দীর্ঘ ৩২/৩৩ বছর চাকরি করেও অধিকাংশ শিক্ষককে পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতে হয়। পদোন্নতি অনিয়মিত হওয়ায় বেশকিছু পদ খালি পড়ে থাকে বছরের পর বছর। যা পদোন্নতিবঞ্চিতদের হতাশ করার পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। সরকারি মাধ্যমিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ প্রাপ্য বকেয়া টাইমস্কেল, পদমর্যাদা, পদোন্নতি, পদায়নসহ চাকরির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে সরকারি মাধ্যমিকে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন এখন সময়ের দাবি। একইভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা অঙ্গীভূত থাকার কারণে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা গুরুত্ব পাচ্ছে না এবং ক্রমেই শিক্ষার মান হ্রাস পাচ্ছে। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর হতে মাধ্যমিক বিভাগকে পৃথক করে আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর