
কক্সবাজারের টেকনাফে চার বছরের শিশুকন্যা নুসরাত আফসি মনি নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জনতা ও পুলিশের সহযোগিতায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ রবিবার হ্নীলার পূর্ব পানখালী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। নুসরাত টেকনাফের হ্নীলা হোয়াকিয়া গ্রামের প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বাঁধনের মেয়ে। এর আগে গতকাল শনিবার বাড়ির উঠানে খেলতে গিয়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, নুসরাতের কানে থাকা সোনার দুলের লোভে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রবিবার দুপুরে পূর্ব পানখালীর নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করছিল আফসি মনি। একপর্যায়ে তাকে দেখতে না পেয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নিতে থাকেন। কোথাও না পেয়ে পার্শ্ববর্তী দিলদার আহমদ মেম্বারের একটি পুকুরে ১০-১২টি জাল দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোনো হদিস মেলেনি। অবশেষে ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুরে ওই পুকুরেই শিশু আফসি মনি’র মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। উদ্ধার করার সময় শিশুর মুখে প্লাস্টিক এবং কানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া স্বর্ণের কানের দুল দুটি ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অথবা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। সম্ভবত দুল ছিনিয়ে নেওয়াদের চিনতে পারায় তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমন নিষ্পাপ শিশুকন্যাকে হত্যা করায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ সময় এলাকাবাসী আটকদের উপর ক্ষিপ্ত হন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, "নিখোঁজ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক – আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছি।"
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর