
ঢাকার বারিধারায় অবস্থিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নালিতাবাড়ী উপজেলার উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তারা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নালিতাবাড়ী উপজেলা উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতি ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা মাহাদী হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কালিনগর বাইপাস মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবু সুফিয়ান, জামায়াতে ইসলামী নালিতাবাড়ী পৌরশাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল মোমেন ও সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলাম উজ্জ্বল প্রমুখ।
এই মানববন্ধনে শহরের গড়কান্দা জামে মসজিদের ইমাম ও মুহতামিম মাহমুদুল হাসান বলেন, "পবিত্র কুরআন মানবজাতির আলোকিত দিশারী। কুরআন অবমাননা গভীরভাবে আঘাত করে মুসলমানদের হৃদয়ে। যারা এমন করছে, তারা আদর্শিকভাবে পরাজিত হয়ে উসকানিমূলক কাজ করছে। সরকারের উচিত এই ধরনের ঘটনার পেছনের ইন্ধনদাতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা।"
ইসলামী আন্দোলন নালিতাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিজানুর রহমান বলেন, "নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল যে কুরআন অবমাননা করেছে, তা আমাদের হৃদয়ে আঘাতের সমান। বারবার এমন ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে কঠোর আইন না থাকা। সরকার দ্রুত আইন প্রণয়ন করে ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুক।"
ইসলামী আন্দোলন নালিতাবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবু বকর বলেন, "এর আগেও এ দেশে কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় তা আবারও ঘটছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোরআনের অপমানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। যারা এ ধরনের ধর্ম অবমাননা করে, তারা নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে। সরকারের উচিত ধর্ম অবমাননাকারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।"
মানববন্ধন শেষে উলামা মাশায়েখ নেতৃবৃন্দরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি গড়কান্দা থেকে শুরু হয়ে ভোগাই ব্রিজে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগান দেন 'আল-কুরআনের অপমান, সইবে না রে মুসলমান। কুরআন অবমাননাকারীর কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও। ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। অপূর্বর ফাঁসি চাই' ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তাকে কুরআন অবমাননা করতে দেখা যায়। ঘটনাটি অনলাইনে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ইতোমধ্যে ভাটারা থানা পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর