
যশোরে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যার দায়ে জহিরুল ইসলাম বাবু নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৮ম আদালতের বিচারক মো: জাকির হোসেন টিপু সোমবার বিকেলে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বাবু যশোর সদরের জগন্নাথপুরের মশিউর বিশ্বাসের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় বাবু আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামে। ২০২২ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়া (২)কে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন বাবু। এর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ফেরার পথে অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবু। এরপর মরদেহগুলো যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার একটি বাগানে ফেলে রাখেন। পরে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে নিজেই বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে সব খুলে বলেন। এরপর বাবুকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিন বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভয়নগর থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১১ বছর আগে বাবুর সঙ্গে বিথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। এছাড়া যৌতুকের দাবিতে বিথিকে মারধর করতেন বাবু। এক পর্যায়ে তাকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরও নির্যাতন থামেনি। ঘটনার দিনও ঝগড়া এবং মারধর করা হয় বিথিকে। বাবু বাড়িতে নেওয়ার পথে তিনজনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পুলিশের তদন্তেও একই তথ্য উঠে আসে। এক পর্যায়ে অভয়নগর থানার এসআই গোলাম হোসেন ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বাবুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত বাবুকে ফাঁসির আদেশ দেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর