
ইসরায়েল গত সপ্তাহে গাজার নৌ অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে ত্রাণবাহী ফ্লোটিল্লা (নৌবহর) আটক করে যে ১৭০ জন ফিলিস্তিনপন্থি কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল, তাদের সঙ্গে সুইডিশ জলবায়ু অধিকারকর্মী গ্রেটা থানবার্গকেও দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
এথেন্স বিমানবন্দরে সমর্থকদের ফুল ও উল্লাসে অভ্যর্থনা পেয়ে গ্রেটা মুষ্টিবদ্ধ হাতে সংহতির চিহ্ন দেখান।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এসব কর্মীকে গ্রিস ও স্লোভাকিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রিস, স্লোভাকিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন।
ইসরায়েল আবারও অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, আটককৃতদের সঙ্গে কোনো নির্যাতন বা মৌলিক অধিকার হরণের ঘটনা ঘটেনি— এসব ‘ভুয়া খবর’। এখন পর্যন্ত ৪২টি নৌযানে থাকা ৪৭৯ জনের মধ্যে ৩৪১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাকি ১৩৮ জন এখনো ইসরায়েলে আটক আছেন। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিল্লা (জিএসএফ) জানিয়েছে, রোববার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি অনশন ধর্মঘটে আছেন।
সংগঠনটির দাবি, ফ্লোটিল্লার উদ্দেশ্য ছিল ‘গাজার অবৈধ অবরোধ ভেঙে সমুদ্রপথে মানবিক করিডর খুলে দেয়া এবং ফিলিস্তিনিদের চলমান গণহত্যা বন্ধ করা।’
তারা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের নৌবহরের বাধা আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক ও মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি— তারা বৈধ অবরোধ কার্যকর করেছে, আর এই ফ্লোটিল্লা ছিল ‘জনপ্রচারমূলক নাটক’, কারণ এতে মোটে দুই টন ত্রাণসামগ্রী বহন করা হচ্ছিল।
সূত্র: বিবিসি নিউজ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর