
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মদুনাঘাটে গুলি করে হাকিম চৌধুরী (৫০) নামের এক বিএনপি কর্মীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রাইভেট কারযোগে রাউজান থেকে চট্টগ্রাম নগরে আসার পথে মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তার বুক, পেটসহ শরীরে পাঁচটি গুলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হালদা নদীর মদুনাঘাট ব্রিজের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল হাকিম বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত হামিম অ্যাগ্রো নামে একটি গরুর খামারের স্বত্বাধিকারী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আবদুল হাকিম গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হলেও তার পদ-পদবির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেট কারে থাকা বিএনপি নেতাদের লক্ষ্য করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। নিহত বিএনপি নেতার নাম আবদুল হাকিম। আহত দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, নিহত ও আহতরা রাউজানের বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। হামলাকারীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারের সমর্থক হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে, পুলিশ এখনো হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) মাগরিবের ১০/১৫ মিনিট আগে হাকিম চৌধুরী প্রাইভেট গাড়িতে চট্টগ্রাম নগরে আসছিলেন। পথে হালদা নদী পার হয়ে মদুনাঘাট পৌঁছালে হেলমেট পরা মোটরসাইকেল আরোহীরা তাকে গুলি করে। ঘটনাস্থলের অদূরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর কাদের চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এর আগে, গত জুলাইয়েও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজানের সত্তারহাট এলাকায় গিয়াস কাদের ও গোলাম আকবরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। ছররা গুলিতে আহত হন গোলাম আকবর খন্দকার নিজেও। ওই ঘটনার পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর