
আধুনিক যুগে চোখ ধাঁধানো স্থাপত্যের জটিল সংমিশ্রণ আর দৃষ্টিনন্দন এক অনন্য স্থাপনা আস-সালাম জামে মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটি। নজরকাড়া নকশায় নির্মিত এ মসজিদটি বাংলাদেশে আধুনিক নির্মাণ শৈলীর অনন্য নজির।স্থাপনাটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় অবস্থিত।
বর্তমানে প্রতিদিন লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু দর্শনার্থী ছুটে আসছেন এ মসজিদটি দেখার জন্য।
শুধু নকশায় নয়, বেশ কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে এ মসজিদে। যা বাংলাদেশে অন্য কোনো মসজিদে চোখে পড়ে না বলে জানান দর্শনার্থীরা। এ মসজিদটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, দোতলায় কোনো জানালা নেই। শুধুমাত্র মুসল্লিদের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রয়েছে দু’টি দরজা। কোনো জানালা না থাকলেও বৈদ্যুতিক বাতি ছাড়াই মসজিদটি সব সময়ই আলোকিত থাকে।
নির্মাতাদের সূত্রে জানা যায়, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ আর জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে স্থানীয় রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্ট নিজেদের জায়গায় জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এ মসজিদ নির্মাণ শুরু করে। মসজিদটির নকশা তৈরিতে বাংলাদেশীয় একটি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান এবং সাথে ছিল বিদেশী কয়েকজন স্থপতি।
বিরতিহীন কাজের পর ২০২১ সালের শেষের দিকে মসজিদটি মুসল্লিদের ইবাদতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। প্রায় দশ হাজার বর্গফুট দোতলা এ মসজিদ নির্মাণে ব্যয় করা বহু অর্থ। সকল ব্যয়ভার বহন করেছে রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্ট।
চোখ ধাঁধানো ডিজাইন আর নজরকাড়া নকশায় নির্মিত এ মসজিদটি বাংলাদেশে আধুনিক নির্মাণ শৈলীর অনন্য নজির। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু দর্শনার্থী ছুটে আসছেন এ মসজিদটি দেখার জন্য।
মসজিদের আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সেখানে ইবাদত করতে আসা মুসল্লিরা মসজিদের ভিতরে বসেই রোদ, বৃষ্টি, কুয়াশা উপভোগ করতে পারে। কারণ এ মসজিদটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এর ভেতরে রোদ, বৃষ্টি সরাসরি এসে পড়ে। মুসল্লিরা উপভোগ করতে পারবে কিন্ত বৃষ্টিতে ভিজবে না ও রোদে পুড়বে না।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর