
গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণায় উল্লসিত ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধবিরতির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে উদযাপন করতে শুরু করে। খবর আল জাজিরার।
ইসরাইলি আক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা।
গাজার বাসিন্দা খালেদ শাত বলেন, ‘এই মুহূর্তকে ঐতিহাসিক বলে মনে হচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার ক্ষণ। কিছুক্ষণ আগে রাস্তায় আমরা যে উচ্ছ্বাস দেখেছিলাম তা গণহত্যা গণহত্যা থেকে মুক্তির আনন্দে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মাজিদ আবদ রাব্বো বলেন, ‘পুরো গাজা উপত্যকাই এই ঘোষণায় উল্লসিত।’তিনি আরো বলেন, ‘সমস্ত আরব জনগণ, এমনকি পুরো বিশ্বই এই যুদ্ধবিরতি এবং রক্তপাতের অবসানকে স্বাগত জানাচ্ছে।’ খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছেও ভোররাতের অন্ধকারে মানুষ জড়ো হয়ে হাততালি ও উল্লাসধ্বনিতে উদযাপন করেন এই শান্তির ঘোষণা।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরো ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪১ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলোর মতে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু হাজার মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের এক স্বাধীন তদন্তে প্রথমবারের মতো বলা হয়েছিল, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই প্রতিবেদনটি অন্যান্য গণহত্যা বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার সংস্থার পর্যবেক্ষণের সঙ্গে মিলে যায়। তবে ইসরায়েল সরকার এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারগুলো তেল আবিবের বিখ্যাত ‘হোস্টেজেস স্কয়ারে’ জড়ো হয়েছিলেন, যা এখন তাদের প্রতিবাদ ও আশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
এক জিম্মির পরিবার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, কারণ তার প্রচেষ্টা ছাড়া আমাদের সন্তানরা হয়তো আর কখনো বাড়ি ফিরত না।’
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর