
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাঁচ দফা দাবিতে তৃতীয় দফার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রোববার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ তথ্য জানান।
দলের ঘোষিত পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো— জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মাধ্যমে গণভোট দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন; জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের ব্যবস্থা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “৫ দফা দাবির প্রেক্ষিতে ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে গণসংযোগ কর্মসূচি, ১০ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকদের নিকট স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, এসব কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে যে, জামায়াতের দাবির প্রতি দেশবাসীর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সরকারের উচিত জনগণের মতামতকে শ্রদ্ধা করে অবিলম্বে জামায়াতের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের জনগণ রাজপথ ছাড়বে না।”
সরকার দাবিগুলো না মানায় জামায়াত তৃতীয় দফার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৪ অক্টোবর (সোমবার) ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
মানববন্ধনটি যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলবে। যাত্রাবাড়ী, মৎস্য ভবন ও গাবতলী পয়েন্টে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
একই দিন দেশের সকল বিভাগীয় শহরেও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে জামায়াত। পরদিন ১৫ অক্টোবর দেশের সব জেলা শহরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে জামায়াতে ইসলামী প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে গণসংযোগ ও গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে। দলটি দাবি করছে—এই দাবিগুলো মানা হলে দেশ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে ফিরে আসবে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর