
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন এবং শিশুসহ আরও তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুর মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন মেঘনা উপজেলার দড়ি লুটেরচর গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৫০) এবং তার স্ত্রী আলেমা বেগম (৪৫)। আলেমা বেগম এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বিল্লাল হোসেনের ছেলের বউ অঞ্জনা (২৩), নাতনি আনিশা (৪) এবং অটোরিকশাচালক আব্দুল করিম (৪০)। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বিল্লাল হোসেনের মেয়ে রত্না আক্তারের বিয়ে হয়েছে গজারিয়া উপজেলার আনারপুরা গ্রামে। সম্প্রতি রত্নার মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায়, বিল্লাল হোসেন পরিবার নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে তাকে দেখতে যাচ্ছিলেন। পথে অটোরিকশাটি আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় মতলব থেকে ঢাকাগামী মতলব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক, বিল্লাল হোসেন, তাঁর স্ত্রী আলেমা বেগমসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বিল্লাল হোসেন, তাঁর স্ত্রী আলেমা বেগম এবং ছেলের বউ অঞ্জনার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে সকাল এগারোটার দিকে আলেমা বেগম মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা ঘাতক বাসের চালক কাউসার হোসেন (২৫)-কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চারজন রোগীকে সেখানে নেওয়া হয়েছিল। শিশু আনিশা ছাড়া বাকি তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত বাস এবং অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘাতক বাসটির চালক কাউসার হোসেনকে স্থানীয়রা আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।"
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর