
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন প্রত্যাশী ১০টি রাজনৈতিক দলের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম পুনর্তদন্তে আরও সাতটি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন এসব কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে ২১ জন কর্মকর্তাকে।
ইসিসর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়। চিঠিতে বলা হয়েছে, মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদনে কিছু ক্ষেত্রে তথ্যের অপূর্ণতা ও মন্তব্যের ঘাটতি থাকায় যাচাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নতুন সাতটি অঞ্চলে (ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা) তিন সদস্যের কমিটি করে এ তদন্ত পরিচালিত হবে। আগের ১০টি কমিটির সঙ্গে মিলিয়ে এখন মোট ১৭টি কমিটি ৫১ কর্মকর্তাকে নিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
যে দলগুলোর ওপর অধিকতর তদন্ত হবে— আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০ উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকতে হয়। যাচাই ও দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর সবকিছু ঠিক থাকলে দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ দেয় নির্বাচন কমিশন।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৬টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর