
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেছেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
তারা জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সাধারণত জার্মানি থেকে অমোচনীয় কালি আনা হয়। নির্বাচনের পরে তা আবার ধ্বংসও করা হয়। ফলে অমোচনীয় কালি পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশন এ তথ্য জানান।
মনির উদ্দিন বলেন, এটি কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। কয়েক ধাপে ভোটারদের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে।
এরআগে ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ও শিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি।
ছাত্রদল প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ভোটারদের আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে। ফলে তারা পুনরায় ভোট দিতে যাওয়ার একটা আশঙ্কা আছে। আমি নিজেও এখন ভোট দিয়ে এসেছি, কিন্তু আমার আঙুলের কালি মুছে গেছে। বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাবো।
অন্যদিকে শিবির প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছিল, এমন কালি ব্যবহার করা হবে যা কয়েক দিনেও মুছে ফেলা যাবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আঙুলের কালি কিছুক্ষণের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে। নির্বাচনের শুরুতেই এটি শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে আজ ৩৫ বছর পর ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার ও পদসংখ্যা বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে প্রত্যেক ভোটারকে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি করে ভোট প্রদানের হিসাব করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে নারী মাত্র ৪৭ জন। প্রতিটি হলে রয়েছে ১৪টি করে পদ। নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৮ জন।
এদিন বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে ওএমআর পদ্ধতিতে গণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফল ভোটকেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে। আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ঘোষণা করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর