
পঞ্চগড় পঞ্চগড়ে জামাতে ইসলামের ওয়ার্ড সভপতির বিরূদ্ধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ নিহত স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনাটি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামে। নিহত স্ত্রী হচ্ছেন মুন্নি আরা বেগম খুশি। সে সর্দার পাড়া গ্রামের জুলফিকার আলীর স্ত্রী। জুলফিকার মাড়েয়া বামন হাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়াড জামাতের সভাপতি। বুধবার দুপুরে নিহত মুন্নি বেগমের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। একই সাথে নিহত মুন্নি বেগমের শ^শুর আবুল কালাম শ^াশুরি রাহেলা বেগম এবং ভাগিনা গোলাম রব্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান গত ১৩ অক্টোবর পারিবারিক কলহের জের ধরে মুন্নি বেগমকে বেধরক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করলে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসার পর গতকার ১৪ অক্টোবর বাসায় চলে আসে। পরে গভীর রাতে বাসায় আবারও মুন্নি বেগমকে মারধর করলে মুন্নি বেগমবেগম মারা যায়। জুলফিকার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার নাটক করে। বুধবারর সকালে মুন্নির মৃত্যুর খবরে তার বাবা মা সহ মুন্নির পরিবারের লোকজন মুন্নির বাড়িতে ছুটে এসে লাশ দেখতে পায় । পরে খবর পেয়ে পুলিশ সর্দারপাড়ায় গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে থানায় মরদেহ নিয়ে আসে। বোদা থানার উপ পরিদর্শক খুরশিদ আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান সকাল থেকেই সর্দারপাড়ার বাড়িতে নিহতের খবরে প্রতিবেশীদের ভীড় লেগে যায়। নিহত মুন্নি বেগমের পরিবার বলছে মুন্নি বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী জুলফিকার আলী। সুরতহালে শরীরের বিভিন্ন জায়গা ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান উপ পরিদর্শক খুরশিদ আলম। নিহত মুন্নি বেগমের বাবা মহিদুল ইসলাম জানান আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন এর আগে বেশ কয়েকবার পারিবারিক কলহ নিয়ে শালিশ মিমাংসা হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বোদা থানার পরিদর্শক তদন্ত রেজওয়ানুল হক জানান নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে আগামিকাল লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। নিহতের পরিবার অভিযোগ লিখে থানায় দিবেন বলেও জানান তিনি।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর