
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক গৃহবধূ।
বাদী মোছা. লিপি আক্তার গত (১৪ অক্টোবর) রাজবাড়ীর বিজ্ঞ পাংশা আমলী আদালতে এ মামলা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১১ জুন বিকেল ৫টার দিকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা শিল্পকলা রোডে অবস্থিত দিশা মেডিকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান ৫ মাসের গর্ভবতী লিপি আক্তার।
তিনি কালুখালী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাদীর অভিযোগ, চিকিৎসক ডা. আনজুয়ারা সুমি বর্তমানে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে শিক্ষক হিসেবে প্রেষণে কর্মরত এবং পাশাপাশি দিশা মেডিকেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন।
ওই নারীর অভিযোগ রোগীকে গর্ভপাত ঘটানোর উদ্দেশ্যে বিনা সম্মতিতে ওষুধ দেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। পরবর্তীতে ওই ওষুধ সেবনের ফলে লিপি আক্তারের পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। এ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১৮ জুন তার গর্ভপাত ঘটে।
বাদী অভিযোগ করেন, আসামি ডা. সুমি একজন অর্থলোভী ও দায়িত্বহীন চিকিৎসক। তিনি রোগীর জীবন রক্ষার্থে নয় বরং ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, এটি ছিল তার ষষ্ঠ সন্তান, এর আগেও তার পাঁচটি সন্তান গর্ভেই নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে ডা. আনজুয়ারা সুমি তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি রোগীর চিকিৎসায় যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং তাকে কোনো ধরনের ক্ষতিকর ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিইনি। বরং রোগীর আগেও একাধিকবার গর্ভপাতের ইতিহাস রয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহিদ হোসেন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর