চুয়াডাঙ্গায় বিসাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত মাস্টারমাইন্ডসহ গ্রেফতার হয়েছেন মামলার ২ জন আসামি । গতকাল বৃহস্পতিবার একাধিক সম্েয় অভিযান চালিয়ে ওই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি একজন গত ১৫ অক্টোবর সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মৃত্য বাকি শেখের ছেলে জুমাত আলী(৪৬), অপর আর একজন আসামি বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের পুটি মন্ডলের ছেলে ফারুক আহমেদ(৪০) ওর্েফ এ্যালকো ফারুক। এই আসামিদের গ্রেফতার করেন জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল (সিসিআইসি) টিম, ডিবি পৃুলিশ ও সদর থানার অভিযান পরিচালনায় এদের গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে ১১৭ বোতল মেয়াদ উত্তীর্ণ এ্যালকোহল স্পিরিট উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা, সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেল, ডিবি একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেন। গত ১৫ অক্টোবর আসামি জুমাত আলী এবং ১৬ অক্টোবর দুপুরে মামলার অন্যতম আসামি ফারুক আহমেদ ঝিনাইদেহর নিজ বাড়ী থেকে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল (সিসিআইসি)টিম গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকালে আসামী ফারুকের কাছ থেকে ১১৭ বোতল মেয়াদ উত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট উদ্ধার করা হয়। অবৈধভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট নিজ দখলে রাখায় গ্রেফতারকৃত ফারুকের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ আরো জানান, নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফারুক আহমেদ স্বীকার করে, সে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে লাইসেন্স বিহীন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার নামে মেয়াদোত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট বিক্রয় করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় হোমিও দোকান ও মাদকসেবীদের নিকট এ জাতীয় বিষাক্ত পদার্থ সরবরাহ করে আসছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আসামী ফারুক আহমেদ এর সরবরাহকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ এ্যালকোহল/স্পিরিট পান করার ফলে মাদক সেবনকারিরা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ জনস্বার্থে এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা, চুয়াডাঙ্গা অবৈধভাবে হোমিও চিকিৎসায় ব্যবহৃত এ্যালকোহল/স্পিরিট সরবরাহ করাকালে ফারুক আহমেদকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুর্বের মামলা দায়ের করা হয়। আর মামলার বাকি আসামিদের ধরার অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদ পানে একে একে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় একটি মামলা রুজ করা হয়েছে। চলতি মাসের ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদরের ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকার জমির হোসেনের আড়তের উত্তর পাশে একসাথে বসে বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন বেশ কয়েকজন দিনমজুর-শ্রমিক।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর