
এইচ এস সি পরিক্ষার ফলাফল বিপর্জয় জেলার বিভিন্ন কলেজে। জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর মহিলা কলেজের শিক্ষক ৩৮ জন হলেও ৭৪ জনের মধ্যে পাস করেছেন ৮ পরিক্ষার্থী।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে বিষয়টি জানা যায়। একই অবস্থা উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের দুটি কলেজে—প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, নূরনগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে ২১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, যার মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১৬৭ জন। কৃতকার্য ৪৮ জন। এই কলেজে শিক্ষক রয়েছেন ৩৭ জন। এদিকে তিলকপুর মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বসেন ৩৮ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে কৃতকার্য হয় ছয়জন এবং অকৃতকার্য হয় ৩২ জন শিক্ষার্থী। এই কলেজেও ২৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। ফলাফলে এমন ভরাডুবিতে কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। প্রতিটি কলেজে এত শিক্ষক থাকার পরও কেন এত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করবে এমন প্রশ্ন অভিভাবকদের। সচেতন নাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন, সেই সব কলেজের শিক্ষার মান ও নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা নিয়ে। ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে আক্কেলপুর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন বলেন, ‘এমন ফলাফলে আমরা অন্ত্যন্ত মর্মাহত, ফলাফলের এমন অবস্থা এর আগে হয় নাই। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত কলেজে আসে না। আমরা শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করবো , আগামীতে কিভাবে ভালো ফলাফল করা যায় ।’ জানতে চাইলে নুরনগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম সাংবাদিকদের জানান, ‘আগে পরীক্ষা দিলেই পাস করত। সেটা দেখে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার আগ্রহ হারিয়েছে। এ কারণে এমন ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে।’ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আক্কেলপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাবেদ ইকবাল হাসান বলেন, ‘এমন ফলবিপর্যয় মেনে নিতে কষ্ট হয়। শিক্ষার্থীরা কলেজমুখী না হওয়ায় এমন রেজাল্ট । অভিভাবকদের সচেতনার অভাব। সব মিলিয়ে এমন ফল বিপর্যয় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।’
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর