
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় পৃথক দুটি স্থান থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন রোহিঙ্গা এবং অপরজন স্থানীয় বাসিন্দা।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ও রাতে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, দুটি ঘটনাই পৃথক সময় ও স্থানে ঘটেছে। একটি হত্যা এবং অন্যটি রহস্যজনক মৃত্যু হিসেবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব লেঙ্গুরবিল গ্রামে। বিকেলের দিকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন মো. আলম (৩৮)। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আলম ওই এলাকার মৃত ওর কালুর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, আলম দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই, কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
অপরদিকে, রাতে উপজেলার ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওয়েস্ট ই-ব্লক থেকে জাহিদ আলম (২৫) নামে এক রোহিঙ্গার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই ক্যাম্পের আমান উল্লাহর ছেলে।
ওসি জিয়াউল হক বলেন, রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যুর ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আলম হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে অভিযান চলছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ক্যাম্প ইনচার্জ (সি’আইসি) ও আরআরআরসি দপ্তরের সহায়তায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, দুটি ঘটনাই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না। একই উপজেলায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজনের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
তাদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়া ও আশপাশের এলাকায় ছোট-বড় অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে, যা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দাবি করছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর