
জুলাই জাতীয় সনদে সাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ উইনূস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এর আগে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান মঞ্চে এসেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর আজ শুক্রবার বিকেল চারটা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীতে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।
এতে উপস্থিত হয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন অতিথিরাও। কয়েক জন উপদেষ্টাকে সেখানে দেখা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য গড়ে তোলে। এরপর খসড়া তৈরি, বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ ও পুনর্বিবেচনার পর সনদটি লিখিতভাবে চূড়ান্ত করা হয়। চূড়ান্ত কপি গত মঙ্গলবার সব রাজনৈতিক দলকে প্রদান করা হয়।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে সংসদ ভবন এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতা, যাদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ বলা হয়, তারা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং বীর হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সকাল থেকেই অবস্থান নেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ তাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান, কিন্তু আন্দোলনকারীরা অবস্থান চালিয়ে যান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সরিয়ে দেয়।
সংবাদ অনুযায়ী, জুলাই যোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে সনদের অঙ্গীকারনামার ৫ নম্বর দফা সংশোধন করা হয়েছে, যা তাদের স্বীকৃতির অন্তর্ভুক্ত।
এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো একসাথে ঐকমত্যে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সংস্কারের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিশ্চিত হয়েছে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর