
এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পরপর তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের পর সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ (কেপিআই) লক্ষ্য করে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা থাকায় এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই নির্দেশনা আসে।
মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে টহল বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নজরদারির নির্দেশ পেয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, ‘পরপর এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শঙ্কা প্রকাশ নতুন কিছু নয়। বিমানবন্দর ও ইপিজেডের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন লাগার ঘটনা সহজে চোখে দেখা যায় না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তদন্ত সংস্থার প্রধান কাজ হচ্ছে, প্রতিটি আগুনের ঘটনার রহস্য নিরপেক্ষভাবে উদঘাটন করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক তদন্ত না হওয়ায় স্বাভাবিক আগুনের ঘটনাতেও মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতেও প্রশ্ন উঠতে পারে।’
কেপিআই কী?
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ সংক্ষেপে কেপিআই নামে পরিচিত। বর্তমানে দেশে বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, বিমানবন্দর, সচিবালয়, বিটিভি, কারাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মোট ৫৮৭টি কেপিআই রয়েছে। এসব স্থাপনার নিরাপত্তা তদারকির জন্য সরকারের একটি শক্তিশালী কমিটি রয়েছে।
১৯৯৭ সালে ইংরেজিতে প্রণীত কেপিআই নিরাপত্তাবিষয়ক নীতিমালা ২০১৩ সালে বাংলায় হালনাগাদ করা হয়। নীতিমালায় কেপিআইয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, নিরাপত্তা কমিটি গঠন, নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠানো, দর্শনার্থীদের তথ্য লিপিবদ্ধ করা, পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ব্যবস্থা, ভেহিকেল সার্চ মিরর এবং লাগেজ স্ক্যানার স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে সশস্ত্র আনসার নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর