
কিশোরগঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সদর উপজেলা শাখা খুচরা সার বিক্রেতা আইডি কার্ডধারীদের ২০০৯ সালের নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার ৫১ জন খুচরা সার বিক্রেতা অংশ নেন। পরে তাঁরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষি সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষি উপদেষ্টা জানান, দেশজুড়ে লাইসেন্সধারী খুচরা সার বিক্রেতাদের সনদ স্থগিত করা হবে এবং দেশে খুচরা সার বিক্রেতা বলে কোনো মহলকে আর পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে না।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নতুন নীতিমালায় খুচরা বা ক্ষুদ্র সার বিক্রেতা রাখা হচ্ছে না। এতে করে ৪৪ হাজার খুচরা সার বিক্রেতাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে। প্রান্তিক কৃষকদের কাছাকাছি সার আমরাই পৌঁছে দিই। বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করি। আমাদের বাদ দিলে ৫ কোটি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের বিদ্যমান নীতিমালায় দীর্ঘদিন ধরে খুচরা পর্যায়ে সার বিক্রির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। এই নীতিমালা বহাল থাকলে কৃষক সহজে সার পাবে, আর বিক্রেতারাও ন্যায্যভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত না করতে হলে পুরোনো অধ্যাদেশ বহাল রাখা এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মুখপাত্র মো. সালাহউদ্দিন, সহসভাপতি মো. ফাইজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. তৈমুর আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তাকবির ভূঁইয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালাহউদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক সাব্বির হোসাইন প্রমুখ।
এ বিষয়ে কথা বলতে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদারকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান মারুফ বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়ে দেব।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর