
বাগেরহাটে সরকারি পিসি কলেজ ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি বেল্লাল শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের পালকিঘর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
বেল্লাল শেখ সরকারি পিসি কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণে হলেও পড়াশোনার সূত্রে তিনি জেলা সদরের দশানী এলাকায় থাকেন।
গত শনিবার বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সংসদ। সেখানে বেল্লাল শেখকে সভাপতি এবং রেদওয়ান কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এছাড়া বাগেরহাট জেলার ৩০টি কলেজ ও মাদ্রাসা শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সংসদ। এরপর থেকেই বিভিন্ন কমিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও দলীয় পর্যায়ে নানা অভিযোগ ও আলোচনা শুরু হয়েছে।
নবগঠিত ওই কমিটি কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এক পক্ষ বেল্লাল শেখসহ তাঁদের লোকজনের ওপর ওই হামলা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রদল সভাপতি বেল্লাল শেখ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আয়শা আক্তারসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন। তবে হামলাকারীদের পরিচয় স্পষ্ট করে বলতে চাননি বেল্লাল শেখ।
স্থানীয় সূত্র বলছে, নবগঠিত পিসি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি বেল্লাল শেখ ও তাঁর অনুসারীরা কলেজের পালকি ঘর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে আসলে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ তাদের ওপর হামলা চালায়। কিল, ঘুসি, লাথি মারতে থাকে বেল্লাল ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর।
জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি বেল্লাল শেখ বলেন, "আমরা নবগঠিত কমিটির সদস্যরা শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়।" তবে কারা এবং কেন তাঁদের ওপর হামলা করেছে এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। বলেন, "হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন এই কমিটির সদস্য রয়েছেন।" তবে হামলার কারণ জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। আর হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমি মানসিক চাপে আছি, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।" ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৬ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হামলাকারীদের মাঝে নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার সামিরসহ অনেকে ছিলেন। গণ্ডগোল শুরু হলে স্থানীয় বেশ কিছু শিক্ষার্থী তাঁদের মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ কারণে এক ছাত্রীর মুঠোফোন পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় এবং তাকে বকাঝকা করেছে কয়েকজন।
শাহারিয়ার সামির বলেন, "আমি দুই দিন ধরে অসুস্থ, কারা কী হামলা করেছে তা আমি জানি না।" জানতে চাইলে নবগঠিত কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান বলেন, "ঘটনার পর আমি কলেজে গিয়ে দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হামলার কথা জানালেও কারা জড়িত, সেটা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা সাংগঠনিকভাবে আলোচনা করছি।"
এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদ-উল-হাসান বলেন, "এমন কিছু শুনিনি। কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর