
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা (কালীপূজা) ও দীপাবলি উৎসব আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে প্রতিবছরের মতো এবারও শক্তি ও শান্তির প্রতীক দেবী শ্যামা মায়ের আরাধনায় ঘরে ঘরে পূজার আয়োজন চলছে। পূজামণ্ডপ ও বাড়িঘরে সাজসজ্জায় ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।
মূলত দীপাবলি ‘আলোর উৎসব’ হিসেবে পরিচিত। অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির বিজয় ও অন্ধকার দূর করে আলোর পথের প্রতিষ্ঠার প্রতীক এ উৎসব।
দুর্গা ও কালীপূজার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। দুর্গা অন্নদাত্রী ও উর্বরা শক্তির দেবী, আর কালী ঘূর্ণি প্রলয়ের প্রতীক দেবী। শাস্ত্র অনুযায়ী, কালী দেবী দুর্গার ললাট থেকে উৎপন্না, অর্থাৎ ক্রোধরূপে প্রকাশিত শক্তি। বাস্তবে কালী দেবী দুর্গারই এক রূপান্তর। শাস্ত্রমতে, দেবী কালীর ১১টি রূপের প্রতিটির আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। কালীপূজার এই আরাধনাকে ‘শ্যামাপূজো’ বা ‘মহানিশি পূজা’ নামেও ডাকা হয়।
পূজা উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কালীপূজাতে গৃহে বা মন্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাই বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজধানীর শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার ও সূত্রাপুরসহ পুরান ঢাকার অনেক এলাকায় মন্ডপে বেশ ঘটা করে শ্যামাপূজা হয়। রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে কালীপূজার আয়োজন রয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর