
দুজনের একজনও প্রাথমিকে গণ্ডা পার হননি। কিন্তু নীল ছবির দুনিয়ায় নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশের টপ মডেল হিসেবে। তাদের একেকটি ভিডিও দেখা হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন। আর সেই ঢিডিও থেকে প্রাপ্ত আয়ে নিজেদের চাকচিক্য বাড়িয়ে এই পথে এনেছেন আরও তরুণ-তরুণীকে। তাদের দিয়ে তৈরি করেছিলেন নীল ছবির দুষ্টচক্র।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সিআিইডির হাতে ধরা পড়ে ওই যুগল। এ বিষয়ে হওয়া প্রেস ব্রিফিংয়ে সিআইডি জানিয়েছে সাইবার অ্যাক্টের মামলার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনেও মামলা হবে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ওই যুগল বাংলাদেশে থেকে নীল ছবির কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোড করছিল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ডার্ক সাইটে। ২০২৪ থেকে পাবলিশ করে ১১২টিরও বেশি ভিডিও।
পরে গোপান সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে বান্দরবন থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
ব্রিফিংয়ে সিআইডি জানিয়েছে, ওই দুজনই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। এ দুজন অন্ধকার জগতে পা দিয়ে ২০২৪ থেকে নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে প্রকাশ করতে থাকেন। এমনকি বাংলাদেশের ধর্মীয়, সামাজিক পরিবেশে মারাত্মক অপরাধ হিসেবে গণ্য পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরিতে কোনো রাখঢাক করেননি তারা। প্রকাশ্যে চেহারা দেখিয়েই তৈরি করেছেন একের পর এক ভিডিও। বিভিন্ন সাইটে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশের টপ মডেল ও পর্নস্টার হিসেবে।
নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যে অর্থ তারা উপার্জন করেছেন, সেগুলো জব্দে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানিয়েছে সিআইডি।
জানান অন্য যারা এই অন্ধকার জগতে প্রবেশ করেছেন তারাও ছাড় পাবে না সিআইডির হাত থেকে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
অপরাধ এর সর্বশেষ খবর