
গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও খামারীদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। "প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্প (১ম সংশোধিত)"-এর আওতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় উপজেলার ২৫ জন প্রান্তিক ও আগ্রহী খামারী অংশগ্রহণ করেন। আগামীকাল বুধবার প্রশিক্ষণের ২য় দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল খামারীদের কাছে উন্নত জাতের ঘাস চাষের আধুনিক কৌশল, সবুজ ঘাস সংরক্ষণের লাগসই প্রযুক্তি এবং গবাদি পশুর জন্য সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনার জ্ঞান পৌঁছে দেওয়া।
প্রশিক্ষণের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "দুধ ও মাংস উৎপাদনে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে উৎপাদনের খরচ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে খামারিরা কম খরচে অধিক উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন। সরকারের এ ধরনের প্রকল্প খামারিদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।"
বিশেষ অতিথি হিসেবে গাজীপুরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নারগিস খানম বলেন, "সঠিক পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস, বিশেষ করে সাইলেজ তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারলে সারা বছর গবাদি পশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এতে দুধের উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনই খামারের লাভও নিশ্চিত হবে।"
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, "এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খামারিদের হাতে-কলমে ঘাস চাষ, কাটিং, সার ব্যবস্থাপনা এবং খাদ্য তৈরির কৌশল শেখানো হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী খামারিদের সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদানে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।"
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী খামারিরা জানান, এই উদ্যোগ তাদের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে ঘাস চাষ ও সংরক্ষণের কৌশল শিখে তারা তাদের খামারের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর