
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারে ব্রয়লার মুরগি এবং বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দোকান পাশাপাশি থাকায় দুর্গন্ধ ও ছিটকে পড়া বর্জ্যের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছিল। এতে বিক্রেতা ও ক্রেতারাও দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতেন।
বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের দীর্ঘদিনের এই দাবি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্রয়লার মুরগির দোকান স্থানান্তর করার উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল। পরে বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতাদের দোকানগুলো বাজারের একটি শেড ঘরে স্থানান্তর করা হয়। এতে করে বাজারের মূল অংশে পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা ফিরে আসে। এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও।
বাজারের খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ী সোলাইমান বলেন, "একই জায়গায় খাদ্যপণ্যের ও ব্রয়লার মুরগির দোকান থাকায় দুর্গন্ধে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। ইউএনও মহোদয়ের উদ্যোগের জন্যে অনেক স্বস্তি পাচ্ছি আমরা।"
রামেরকুড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, "বাজার ব্যবস্থাপনায় এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় ইউএনও মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।" মুরগির বাজার স্থানান্তর করার উদ্যোগকে সময়োপযোগী এবং সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন সচেতন নাগরিকরা।
বণিক সমিতির সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান খান বলেন, "ব্রয়লার মুরগি এবং বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দোকান পাশাপাশি থাকায় দুর্গন্ধ ও ছিটকে পড়া বর্জ্যের কারণে একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হতো। এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের। মুরগির দোকান স্থানান্তর করায় এখন সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এখন বাজারের মূল অংশে পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।"
এ বিষয়ে ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, "বাজারের পরিবেশ রক্ষা করা এবং জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। জনগণের স্বার্থে আমরা সবসময় কাজ করে যাবো।"
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর