
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে—এমন দাবি করেছিলেন তার ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী। ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে তিনি এই অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সালমান শাহর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করার সুযোগ তৈরি হয়। বর্তমানে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ডনসহ মোট ১১ জনকে।
শাহরান ২০১৭ সালের সেই লাইভে বলেন, সোনারগাঁও হোটেলে একবার সালমান শাহ প্রকাশ্যে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে চড় মেরেছিলেন। কারণ, তিনি সালমানের স্ত্রী সামিরাকে ‘কিস’ করেছিলেন। শাহরানের দাবি অনুযায়ী, ঘটনাটি অনেকেই জানতেন। ওইদিন সালমান হোটেলে গিয়ে সামিরাকে টাকাসহ হাতে-নাতে ধরে ফেলেন। সালমানের প্রশ্নে সামিরা সেই টাকার উৎস জানাতে পারেননি। শাহরানের মতে, ওই টাকাটা আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল কোনো ষড়যন্ত্রমূলক কাজে।
তিনি আরও বলেন, সালমান শাহর মৃত্যুর পর ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে উপস্থাপন করে ধামাচাপা দেওয়া হয়। সালমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পরিবারকে বিভ্রান্ত করা হয় এবং দ্রুত পোস্টমর্টেম সম্পন্ন করা হয়। এমনকি শাহরান নিজেও পোস্টমর্টেমে উপস্থিত থাকতে চাইলেও তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
শাহরান দাবি করেন, “আমার ভাই আত্মহত্যা করেনি। তার শরীরে ফাঁসের কোনো দাগ ছিল না। আমি নিজে গোসল করিয়েছি। রুমে ধস্তাধস্তির চিহ্ন ছিল, দরজায় দায়ের কোপ ছিল, দেয়ালে আঁচড়ের দাগও ছিল।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “যদি ভাই আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে ফ্যান ভাঙল না কেন? সালমানের ওজন অনুযায়ী ফ্যান তো ভেঙে পড়ার কথা। আর সকালে ঘুম থেকে উঠে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়।”
শাহরান বলেন, সালমান শাহ তার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। যদি তিনি আত্মহত্যার চিন্তা করতেন, তাহলে নিশ্চয়ই ভাইয়ের সঙ্গে তা শেয়ার করতেন।
এই ঘটনার পর সালমান শাহর মৃত্যু ঘিরে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হয় এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ পুনরায় সামনে আসে।
সূত্র: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাহরান চৌধুরীর লাইভ বক্তব্য, ২০১৭।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর