
বিশ্ববাজারে সোনার দাম টানা ঊর্ধ্বগতির পর হঠাৎ বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে। গত ১২ বছরে সবচেয়ে বড় একদিনের পতনে সোনার দাম ৬.৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়ে প্রতি ট্রয় আউন্সে প্রায় ৪,০০০ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে।
চলতি বছরে সোনার দাম প্রায় ৫৫ থেকে ৫৭ শতাংশ বেড়েছিল, যা ইতিহাসে অন্যতম দ্রুত উত্থান হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু অক্টোবরের মাঝামাঝি এসে বাজারে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্রি।
The Economic Times জানিয়েছে, এই পতনের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে—
মুনাফা তোলা (Profit-taking): দীর্ঘ সময় ধরে দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীরা লাভ তুলে নিচ্ছেন।
মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়া: ডলারের মান বাড়ায় সোনার দাম চাপে পড়েছে।
ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস: মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন ইস্যুতে সাম্প্রতিক কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি বাজারে আতঙ্ক কমিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় আশাবাদ: এই আলোচনায় অগ্রগতি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ফলে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনার প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমেছে।
সোনার পাশাপাশি রুপা (Silver) ও প্লাটিনাম (Platinum) এর দামেও উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এটি “ধাতুবাজারে স্বাভাবিক সংশোধন” (technical correction) ছাড়া আর কিছু নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪,০০০ ডলার এখন সোনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেল।
যদি এটি ভেঙে যায়, দাম নেমে যেতে পারে ৩,৯৫০–৩,৮৩০ ডলার পর্যন্ত। তবে দাম আবার যদি ৪,১৬০ ডলারের ওপরে ফিরে আসে, তাহলে বাজার পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে অনেক বিশ্লেষক এখনও আশাবাদী। তাদের ধারণা, ২০২৬ সালের মধ্যে সোনার দাম আবারও ৪,৫০০ থেকে ৫,০০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।
বাংলাদেশের বাজারও আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। তাই বৈশ্বিক বাজারে এমন পতন হলে স্থানীয় স্বর্ণমূল্যে সাময়িক সমন্বয় দেখা দিতে পারে।
তবে স্থানীয় চাহিদা, ডলারের বিনিময় হার ও আমদানি খরচের ওপর চূড়ান্ত প্রভাব নির্ভর করবে।
সূত্র: The Economic Times
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর