বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা বলেছেন, জিয়া পরিষদের সাথে যুক্ত কারো ১৭ বছরে পদোন্নতি হয়নি।

তিনি উল্লেখ করেন, "আমরা সাধারণ মানুষেরা যেভাবে দুঃশাসনের মধ্যে ছিলাম, ঠিক সেভাবে আপনারাও ছিলেন। এভাবে প্রত্যেকটা সেক্টরে পদোন্নতি বন্ধ ছিল। আজ সেই পদোন্নতির রাস্তা খুলে গিয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কতটা দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছিলেন, যাতে বাংলাদেশের প্রতিটা সেক্টরে জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসীদের একত্রিত করে জিয়া পরিষদ গঠিত হয়েছিল। জিয়া পরিষদের সাথে শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী ও ব্যবসায়ীরা যুক্ত আছেন, যারা সমাজের অভিজাত শ্রেণী।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আফরোজা খানম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় মানুষের কাছাকাছি যাচ্ছি, শুনছি তাদের কথা। তারা বলছেন আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময়কার কথা। সেই দুঃশাসন থেকে দেশ এখন মুক্ত। একমাত্র ধানের শীষের সময়ে তারা নিরাপদে ছিল। সামনের নির্বাচনে কেন সাধারণ মানুষ প্রতিপক্ষ জামাতকে ভোট দেবে না, সে বিষয়ে জনগণকে জানাতে হবে।

জিয়া পরিষদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আফরোজা খানম বলেন, দেশে বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দেশে কীভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে, সেটা আপনাদের জনগণকে বোঝাতে হবে। এবারের নির্বাচন কঠিন নির্বাচন। সেদিকে আমাদের সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য।

জিয়া পরিষদ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি খাদেমুল ইসলাম পিনুর সভাপতিত্ব ও মোহাম্মদ শামসুর রহমান দোলনচাঁপার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ, মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ, মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের পিপি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আ. ফ. ম. নূরতাজ আলম বাহার, জিয়া পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব কৃষিবিদ মানোয়ারুল ইসলাম এনাম, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, প্রকৌশলী রুহুল আলম। সভায় জিয়া পরিষদের জেলার নেতৃবৃন্দ এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মী সভা শেষ করে জিয়া পরিষদ মানিকগঞ্জের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ১১৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে খাদেমুল ইসলাম পিনুকে পুনরায় সভাপতি এবং কৃষিবিদ তানিম ইকবাল রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

মুনতাসির/সাএ