বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহর অকাল প্রয়াণ আজও গভীরভাবে নাড়া দেয় দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গন ও ভক্তদের হৃদয়ে। মাত্র কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে তিনি যেমন কোটি দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি তার মৃত্যু হয়ে ওঠে দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনা।
দীর্ঘ ২৯ বছর পর এই মৃত্যু এখন হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “আমার মতে, দেশে যত নায়ক এসেছে, তাদের মধ্যে সালমান শাহ ছিল সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া তারকা। আমি সেটে কাজ করছিলাম, হঠাৎ খবর পেলাম— সালমান মারা গেছে। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল আকাশ থেকে পড়ে গেছি। এরপর আমি মেডিক্যালে গেলাম।”
তিনি বলেন, “যতটুকু মনে পড়ে, সালমান শাহ তখন স্ট্রেচারে শুয়ে ছিল। তার গায়ে কোনো জামা ছিল না, তবে গলায় একটি চেইন ছিল। আমি কাছে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মানসিকভাবে এতটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম যে মাটিতে বসে পড়েছিলাম।”
এরপর সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সালমান শাহর দাফন সম্পন্ন হয় বলে জানান এই অভিনেতা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসায় সালমান শাহর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে এটি ‘আত্মহত্যা’ বা ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে গণ্য করা হলেও, পরবর্তীতে তদন্তে নানা জটিলতা ও নতুন তথ্য উঠে আসায় মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে তদন্তাধীন।
সালমান শাহর মৃত্যুর পর থেকে ভক্ত ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মনে একটি প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে— এটি কি সত্যিই আত্মহত্যা, নাকি পরিকল্পিত হত্যা?
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর