টুপিপরা নিয়ে দ্বন্দ্বে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ঘুমের মধ্যে এক মাদরাসা ছাত্রকে বিভৎসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। এরআগে, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো.নাজিম উদ্দিন (১৩) উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। অপরদিকে, আটক আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। গত ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে নাজিম ও আবু ছায়েদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদরাসার এক শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয়। কিন্ত এ ঘটনার জের ধরে নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩শত টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে নিয়ে আসে ছায়েদ। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে যায় ১৪জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে ঘুমের মধ্যে নাজিমকে জবাই করে দেয়। ওই সময় নাজিমের গলার গোঙরানির আওয়াজ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে উঠে এ ঘটনা দেখতে পায়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে। লাশের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর