কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে চুরির অপবাদ দিয়ে দিনভর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে যুবলীগের এক নেতা আটক করে পুলিশ। (৩০ অক্টোবর ২০২৫) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের বিনন্দিয়ার চর গ্রামে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,বুধবার উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা মোঃ মনির হোসেন (৪০) এর কর্তৃক আবু সাঈদ (১৫) এক কিশোরকে চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ীর গাছের সঙ্গে বেঁধে দিনভর শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের শিকার কিশোর স্থানীয় শাহদৌলতপুর গ্রামের মৃত নাজির ইসলামের ছেলে। আর যুবলীগ নেতা মনির হোসেন বিনন্দিয়ারচর গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে। স্থানীয়রা আরও জানান, কিশোর আবু সাঈদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে সারাদিন নির্যাতন করেন এবং তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, মনির হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক হায়দারের কর্মী।
গত ১৬ বছর ধরে এরা ময়নামতি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। এখনো অত্যাচার-নির্যাতন করছে। নির্যাতনের শিকার আবু সাঈদের মা মোসাম্মৎ সেলিনা বলেন, “তার ছেলেকে কাজের কথা বলে মনির হোসেন বাসায় নিয়ে যায়। আমার ছেলে কাজের টাকা চাওয়ায় তাকে চোর বলে অপবাদ দেয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমরা যখন ছেলেকে উদ্ধার করতে যাই, তখন আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়।” তিনি আরও বলেন, “এ সময় মৃত সুলতান মৃধার ছেলে মো. মনির হোসেন ও তার দলবল নিয়ে আমার ছেলেকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ৯০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি একজন স্বামীহারা মানুষ। আমার পক্ষে এই টাকা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।”কেন নির্যাতন করা হয়েছে এই বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা মনির হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে নির্যাতিত কিশোর কে উদ্ধার করি এবং নির্যাতিত কিশোরের মায়ের অভিযোগে যুবলীগের নেতা মনির হোসেন কে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর সকালে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর