 
          
 
চীনের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ ও রপ্তানিনির্ভর প্রবৃদ্ধি আর টেকসই নয় বলে স্বীকার করেছে দেশটির নেতৃত্ব। এজন্য তারা আসন্ন পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনায় (২০২৬–২০৩০) ভোগব্যয়কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক নীতির দিকে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির নীতি-নির্ধারকরা জানান, আগামী অর্থনৈতিক কাঠামোয় ভোক্তা চাহিদা বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি, সামাজিক সেবা খাতে সরকারি ব্যয় বাড়ানো এবং দেশীয় ভোগ বাড়াতে বিভিন্ন প্রণোদনা নীতিও নেওয়া হবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের অভ্যন্তরীণ ভোগব্যয় বর্তমানে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ৪০ শতাংশ—যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম। ফলে প্রবৃদ্ধির গতি টেকসই রাখতে হলে বিনিয়োগ ও রপ্তানি নির্ভরতা কমিয়ে ভোগব্যয় বাড়ানো এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনের নেতৃত্ব প্রচলিত অবকাঠামো ও ভারী শিল্পে অতিরিক্ত বিনিয়োগ থেকে সরে এসে উচ্চপ্রযুক্তি খাত ও উদ্ভাবনী শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকেও জোর দিচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান ও উৎপাদন কাঠামো উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এই রূপান্তর প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং চ্যালেঞ্জপূর্ণ হবে। আয়ের বৈষম্য, বেকারত্ব এবং ভোক্তাদের আস্থার অভাব—এই তিনটি বড় বাধা না কাটালে চীনের নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবে সফল করা কঠিন হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স।
সাজু/নিএ
 সর্বশেষ খবর