• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ২৪ সেকেন্ড পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৫৩ দুপুর

নবীজির দেখানো পথেই মানবতার মুক্তি

ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম শান্তির ধর্ম। এর মূল শিক্ষা সহনশীলতা, মানবতা ও ন্যায়বিচার। নবী মুহাম্মাদ (সা.) ছিলেন এই শান্তি ও মানবতার শ্রেষ্ঠ নমুনা। তিনি তার উত্তম চরিত্র, ধৈর্য ও উদারতা দিয়ে তৎকালীন আরবের বর্বর সমাজকে রূপান্তরিত করেছিলেন একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থায়।

আজকের প্রেক্ষাপটে, যখন ধর্মীয় বিভাজন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা দিন দিন বাড়ছে, তখন নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর আদর্শ ও ইসলামের প্রকৃত বার্তা তুলে ধরা জরুরি হয়ে পড়েছে। নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবন ছিল মানবতার অনন্য উদাহরণ। নবীজির জীবনে আমরা অসংখ্য এমন দৃষ্টান্ত দেখি, যা শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়।

এমন আচরণ নবীজির অসাধারণ সহনশীলতার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করছি। এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, একবার এক মুশরিক নবীজির আতিথেয়তা গ্রহণ করে এবং বিদ্বেষবশত নবীজির চাদরে মলত্যাগ করে পালিয়ে যায়। নবীজি তা দেখে রাগ করেননি বরং নিজ হাতে তা পরিষ্কার করেন। পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গে দেখা হলে নবীজি বলেন, ‘ভাই, যদি রাতের অসুস্থতা জানাতেন, তবে আমি আপনাকে সহায়তা করতে পারতাম। আপনি না জানিয়ে চলে গেলেন, এতে আমি কষ্ট পেয়েছি।’

মসজিদে অশোভন আচরণের ঘটনায় সহনশীলতার উদাহরণও রয়েছে নবীজির জীবনে। হাদিসটি বুখারি ও মুসলিম শরিফে উল্লেখ করা হয়েছে। এক বেদুইন ব্যক্তি মসজিদে প্রস্রাব করতে বসলে সাহাবিরা তাকে বাধা দিতে যান। নবীজি বলেন, ‘তোমরা তাকে থামিও না, তাকে শেষ করতে দাও। পরে এর ওপর পানি ঢেলে পরিষ্কার করো।’

এ থেকে বোঝা যায়, তিনি কঠোরতা নয় বরং দয়া ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে মানুষের ভুল সংশোধন করতেন। তায়েফে ধৈর্যের মহান দৃষ্টান্তের ঘটনা আমরা সবাই জানি। তায়েফের ময়দানে শিশুরা পর্যন্ত পাথর ছুড়ে নবীজিকে রক্তাক্ত করেছিল। তবুও নবীজি বদদোয়া করেননি, বরং দোয়া করে ছিলেন, ‘হে আল্লাহ, ওদের হেদায়েত দাও, তারা না জেনে না চিনে আমার সঙ্গে এমন আচরণ করছে।’

এ হাদিসটিও বুখারি ও মুসলিমে এসেছে। মক্কায় কষ্টের মুহূর্তেও ধৈর্যের উদাহরণের ঘটনা এসেছে বুখারিতে। মক্কার নবীজি (সা.) নামাজ আদায় করছিলেন। এমন সময় কাফেররা নবীজির পিঠে উটের নাড়িভুঁড়ি ফেলল, তখনো নবীজি হাসিমুখে ধৈর্য ধারণ করলেন, বদলা নিলেন না। ইসলামের মূলনীতি হলো সাম্য ও নিরাপত্তা। ইসলাম কখনো সহিংসতা বা অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে আক্রমণকে সমর্থন করে না। বরং ইসলাম প্রতিটি ধর্মাবলম্বীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলে। আল্লাহ বলেন, ‘দ্বীনে জোর-জবরদস্তি নেই।’ (সূরা বাকারা, ২৫৬।) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেন ইনসাফ ও সদ্ব্যবহারের।’ (সূরা আন-নাহল, ৯০।)

আমরা যখন সত্যিকার মুসলমান হব, তখন মানুষ আমাদের দেখে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তখন আলাদা করে মঞ্চে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে না। সমাজে প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন ব্যক্তি চরিত্র ও নেতৃত্বে নীতি ও আদর্শ থাকে। ইসলাম শ্রেণিবৈষম্য নয়, বরং সব মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার কথা বলে।

নবীজির জীবনের প্রতিটি অধ্যায় আমাদের শেখায় কীভাবে ভালো মানুষ হওয়া যায়। আজ যখন সমাজে বিভ্রান্তি, সহিংসতা ও ধর্মীয় উগ্রতা বাড়ছে, তখন আমাদের উচিত হবে শুধু মুখে নয়, জীবনে নবীজির আদর্শ বাস্তবায়ন করা। নবীজি বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যার চরিত্র উত্তম।’ (বুখারি।)

কুশল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]