ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে চলন্ত ট্রেনে সংঘটিত ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা নয়।
এ ঘটনায় দুইজন ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট জন লাভলেস জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে এটি সন্ত্রাসী হামলা বলে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। আমরা ঘটনার পূর্ণ প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্যে নির্ধারণে কাজ করছি।’
গ্রেপ্তার দুইজনের একজন ৩২ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক, অন্যজন ৩৫ বছর বয়সী ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দুজনই যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন।
ঘটনার পর ট্রেনটি জরুরি অবস্থায় থামে লন্ডন থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে হান্টিংডনে। সশস্ত্র পুলিশ অভিযানে গিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করে। আহতদের মধ্যে চারজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তবে দুইজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। রাজা তৃতীয় চার্লসও ঘটনায় ‘অত্যন্ত মর্মাহত ও বিস্মিত’ বলে জানিয়েছেন।
গত এক দশকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ছুরিকাঘাত-সংক্রান্ত অপরাধ ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরই রেকর্ড ৫৪ হাজার ৫৮৭টি এমন অপরাধের ঘটনা ঘটেছে—যা ইউরোপের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ হার।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শাবানা মাহমুদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি গভীরভাবে দুঃখিত। সবাইকে অনুরোধ করছি, ঘটনার বিষয়ে অনুমাননির্ভর মন্তব্য বা গুজব না ছড়াতে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যখন একজন যাত্রী দৌড়ে এসে বলেন, ‘একজন সবাইকে ছুরিকাঘাত করছে।’
এক সাক্ষী বিবিসিকে জানান, ‘আমি চেয়ার ছুঁয়ে দেখি, রক্তে ভরা। চারদিকে রক্ত লেগে আছে।’
ঘটনার পর নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানায়, যুক্তরাজ্যের বর্তমান সন্ত্রাস সতর্কতা স্তর ‘সাবস্টানশিয়াল’, অর্থাৎ হামলার সম্ভাবনা ‘উল্লেখযোগ্য’।
সূত্র: আল-আরাবিয়া
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর