সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এবারের রাস উৎসবে প্রায় ১৪ হাজার পুণ্যার্থী অংশ নিয়েছেন।
সূর্যোদয়ের আগে সাগরের জোয়ারের জলে পুণ্যস্নান করলে পাপ মোচন হয়ে থাকে বলে তারা বিশ্বাস করেন। তাই বুধবার ভোরে সূর্যোদয়ের আগে সাগরের প্রথম জোয়ারে পুণ্যস্নান করে হাজার হাজার পুণ্যার্থী তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। যার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিনদিন ব্যাপী এ উৎসবের।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দেড়শ বছরের পুরানো এই রাস উৎসব শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সুন্দরবনে ছিলো এক উৎসবের আমেজ।
এদিন সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকায় করে দুবলার চরে আসতে থাকেন। সন্ধ্যায় পূজা, আর্চনা করেন। মঙ্গলবার মূল পূজা এবং মানত পরিশোধ করেন পুণ্যার্থীরা।
উৎসবকে ঘিরে সুন্দরবনে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উৎসবে যোগ দেওয়া পুণ্যার্থীদের কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য র্যাব, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বনবিভাগ ছিল তৎপর।
উৎসবস্থল ও আশপাশের বনের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশপাশি হরিণ ও বন্যপ্রাণি শিকাররোধ এবং দস্যু দমনেও ছিলো কঠোর ব্যবস্থা।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, এ বছর রাস পূজায় সনাতন ধর্মের প্রায় ১৪ হাজার তীর্থযাত্রী উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার ভোরের সূর্যোদয়ের সময় সাগরের প্রথম জোয়ারের লোণা জলে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটেছে এই উৎসবের
ডিএফও রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণভাবে আমরা রাস উৎসব শেষ করেছি। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের মতো করে নিয়ম মেনে পূজা অর্চনা ও পুণ্যস্নান করেছেন। স্নান শেষে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকায় করে পুণ্যার্থীরা গন্তব্যে ফিরেছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর