ঢাকা থেকে এলাকায় ফেরার পথে জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদ রানা প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নিলেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাই উপজেলার বাঁশের ব্রিজ এলাকায় তাকে বরণ করা হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের ঢেউ লক্ষ্য করা যায়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন ঘোষণার সময় মাসুদ রানা প্রধান ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি জয়পুরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি বাঁশের ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে হাজারো নেতাকর্মী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ ওয়াহাব, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. হেনা কবির, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, জয়পুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জ্বল প্রধান, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব এটিএম শাহ নেওয়াজ কবির শুভ্র প্রমুখ।
নেতাকর্মীরা প্রায় ১ হাজার মোটরসাইকেল, ২০টির বেশি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের বিশাল বহর নিয়ে মাসুদ রানা প্রধান জয়পুরহাট শহরে প্রবেশ করলে বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতাকর্মীরা স্লোগান ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. হেনা কবির বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মোজাহার আলী প্রধানের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে মাসুদ রানা প্রধানের প্রতি দলের নেতাকর্মীরা আস্থাশীল ও উদ্দীপ্ত। তিনি আরও বলেন, আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে, দলীয় গ্রুপিং না করে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দল মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার জন্য নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে।
মাসুদ রানা প্রধান জয়পুরহাটে প্রবেশের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে জেলা শহরের শহীদ ডা. আবুল কাসেম ময়দানে যান এবং সেখানে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, প্রয়াত এমপি মোজাহার আলী প্রধান, জুলাই আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
আবেগঘন কণ্ঠে মাসুদ রানা প্রধান বলেন, আমি অনেক জায়গায় বক্তব্য দিতে গিয়ে অনেক কথা বলেছি। যদি কোথাও ভুল-ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। গত ১৭ বছর অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার বাবা হজ্ব করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছিল। অনেক কষ্ট, অনেক দুঃখ।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে বলতে চাই, এই জয়পুরহাটকে শান্তির জেলা করতে চাই। এরজন্য সহযোগিতা চাই। কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি চাই না। চাঁদাবাজির কোনো স্থান বিএনপিতে দেব না, ইনশাল্লাহ্। আজকে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন, এই ভালোবাসার যোগ্য হয়তো আমি নই। এই ঋণ সর্বোচ্চটা দিয়ে শোধ করার চেষ্টা করবো। আমি জয়পুরহাটবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই। জয়পুরহাটকে শান্তির আবাস ভূমি করতে চাই।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর