নড়াইলের সদর উপজেলার গোবরা থেকে আগদিয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি এখন যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় উঠে গেছে পিচঢালাই, কোথাও তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত, আবার কোথাও রাস্তা ভেঙে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। অনেক সময় বড় গর্তে আটকে পড়ে ট্রাক বাসসহ ভারী যানবাহন। এতে প্রতিদিনই ছোট ছোট যানবাহন উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা, আহত হচ্ছেন যাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। ছোট যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনার ঘটনা নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নড়াইল শহর থেকে যশোরের নওয়াপাড়া ও খুলনা যাওয়ার সহজ পথ হিসেবে ব্যবহৃত এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। নড়াইল সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেক মানুষ কাজের খোঁজে নওয়াপাড়া ও খুলনাতে যান। এছাড়া ওই অঞ্চলের শিল্পকারখানার পণ্যবাহী অসংখ্য গাড়িও এই সড়ক ব্যবহার করে। কিন্তু গোবরা থেকে আগদিয়া পর্যন্ত চার কিলোমিটার পথের এই জরাজীর্ণ অবস্থা যাত্রী ও স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে তুলেছে।
স্থানীয় ভ্যানচালকরা বলেন, ‘গোবরা থেকে আগদিয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত এই রাস্তা অনেক খারাপ। অনেক সময় ভ্যান ইজিবাইক উল্টে যায়। উল্টে গিয়ে ভ্যান ও যাত্রীদের অনেক ক্ষতি হয়। মাঝেমধ্যে ইটসুরকির জোড়াতালি দিয়ে সড়কটিকে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা হলেও তাতে তেমন কোনো সুফল মেলে না। ভারী গাড়ির চাপ আর বৃষ্টির পানিতে তা কয়েকদিনের মধ্যেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় রাস্তা। তাই জোড়াতালি নয়, দ্রæত টেকসই সংস্কারের দাবি চলাচলকারীদের।,
মটরসাইকেল চালকরা বলেন,‘আমি প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। রাস্তায় এমন অবস্থা যে, গাড়ি নিয়ে বের হলে ভয় লাগে কখন উল্টে যায়। বৃষ্টি হলে তো আরও বিপদ।,
এদিকে সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জানিয়ে দ্রæত সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার ইকরামুল কবীর। তিনি বলেন, ‘আমি স¤প্রতি রাস্তাটি ভিজিট করেছি। রাস্তাটি আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চলাচলের উপযোগী করা হবে।,
তবে শুধু আশ্বাস নয়, প্রতিদিনের ভোগান্তি এড়াতে দ্রæত খানা-খন্দে ভরা সড়ক সংস্কর কাজের বাস্তবায়ন চান এলাকাবাসী ও যাতায়াতকারীরা।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর