কার্তিকের শেষের দিকে বাংলার প্রকৃতিতে শীতের আগমন অনুভূত হচ্ছে। ভোরের দিকে দেশের কিছু অংশে হালকা কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরও কুয়াশার কথা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দেওয়া আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কিছুদিন দেশের কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলই হয়ে পড়েছে বৃষ্টিহীন। আগামী কিছুদিনও দেশে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, আগামীকাল (আজ) থেকে দেশ প্রায় বৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারে। কয়েক দিন তেমন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আগামী কিছুদিন দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও নদী অববাহিকায় মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যে কুয়াশার দেখা মিলতে পারে।
দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই বৃষ্টির দেখা মেলেনি। মূলত সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অল্প কিছু অঞ্চলে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫১টি পর্যবেক্ষণাগারের মধ্যে মাত্র ৬টিতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় সিলেটেও ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চাঁদপুরে, ৩৪ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১৮.৯ ডিগ্রি। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩২.৫ ডিগ্রি ও ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার শুধু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার কিছুটা কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর